জিজ্ঞাসাবাদের নামে ছিনতাই, ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন রাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক জনি আহমেদ ওরফে সজীব ও রাজশাহী মহানগরীর বুলনপুর এলাকার রাজন। জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ ঘটনার পর পরই জনিকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, ছাত্রলীগ নেতা জনি ও তাঁর সহযোগী রাজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থী রফিক সানি এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের পাশে কয়েকজন শিক্ষার্থী বসেছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা জনি ও রাজন মোটরসাইকেলে করে সেখানে আসেন। তাঁরা সেখান থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধমক দিয়ে সরিয়ে দেন এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহ আলম ও একই বিভাগের একজন ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁরা ওই দুই শিক্ষার্থীর ব্যাগ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকা ও দুজনের মোবাইল ফোন নিয়ে নেন।
জনি ও রাজন চলে যাওয়ার সময় ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী সিনেট ভবন সংলগ্ন ‘সাবাস বাংলাদেশ’ মাঠে ফুটবল খেলতে থাকা কয়েক শিক্ষার্থীকে ডাক দেন। তাঁরা এসে ছিনতাইকারীদের পিটুনি দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
রফিক সানি অভিযোগ করেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে ছিনতাইকারীদের আটক করে গাড়িতে তোলে। এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের মারতে গেলে পুলিশের গাড়িতে লাঠির আঘাত লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বেধড়ক পেটান।
পরে পুলিশ ছিনতাইকারীদের থানায় নিয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।