ভাঙ্গায় নারীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
বুধবার সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রাম থেকে সেলিম বেপারী (২৮) ও মালীগ্রাম কলাতলা গ্রাম থেকে মুন্নি আক্তারসহ (১৫) দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে ভাঙ্গা থানা পুলিশ পুকুরিয়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িসংলগ্ন জনৈক আজিমউদ্দিন মুন্সির ভাড়া বাসা থেকে ঘরের মধ্যে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সেলিম বেপারীর লাশ উদ্ধার করে। অন্যদিকে দুপুরে উপজেলার মালীগ্রাম কলাতলা গ্রামের মান্দার সেখের মেয়ে মুন্নি আক্তারের লাশ আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কেশবপুর গ্রামের ফেলা বেপারীর ছেলে সেলিম বেপারী স্ত্রীকে নিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে তাঁর শ্বশুরবাড়িসংলগ্ন আজিমউদ্দিন মুন্সির বাড়িতে ভাড়া বাসায় বাস করতেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানার এসআই দবির উদ্দিন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। এদিকে, উপজেলার মালীগ্রাম কলাতলা গ্রামের মান্দার সেখের বাড়ি থেকে তাঁর মেয়ে মুন্নি আক্তারের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো খাওয়াদাওয়া সেরে মুন্নি আক্তার ঘরের মধ্যে ঘুমাতে যায়। পরে পরিবারের লোকজন ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা এসআই মজিবর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
সূত্রে জানা গেছে, মুন্নি আক্তারের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরে মন দেওয়া-নেওয়া চলছিল। কিন্তু মুন্নি আক্তারের অমতে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিল এবং বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পারিবারিকভাবে তাকে গালমন্দ করা হয়েছিল। এ নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।
ভাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।