‘অনন্তলোকে শান্তিতে থাকবেন হে বীর যোদ্ধা’

দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মিডিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনের শিল্পীরা।
সংগীতশিল্পী ইমরান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অনেক বড় একটা দুঃসংবাদ দিয়ে সকাল শুরু। দেশবরেণ্য সুরকার, গীতিকার, মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল (স্যার) আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।আজ ভোর ৪টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।’
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘দিনটা এমন করে শুরু হওয়ার কথা ছিল না। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাই আর নেই। তাঁর সাথে কথা ছিল আমার সিনেমার একটা হলেও গানের সুর তিনি করবেন! তাঁর করা সুরের প্রথম গান হবে আমার সিনেমার গান। আহ! একি শুনছি! কী হচ্ছে এইসব! বুলবুল ভাই, এমন তো কথা ছিল না! ভালোই হলো ওই পারে অপেক্ষা করেছিল আপনার ছোট ভাই মিরাজ। যুদ্ধাপরাধী সাক্ষী দিয়েছিলেন বলে তাকে মরতে হয়েছিল! বুলবুল ভাই আপনি ভালো থাকবেন প্লিজ।’
সংগীতশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা বলেন, ‘আপনাকে মিস করব স্যার।’
অভিনেত্রী শাহানাজ খুশি বলেন, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না। বিনম্র শ্রদ্ধা। চার দেয়ালের মাঝে বন্দি হয়ে থাকার অবসান হলো। অনন্তলোকে শান্তিতে থাকবেন হে বীর যোদ্ধা। ’
সংগীতশিল্পী প্রতীক হাসান বলেন, ‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল চাচা মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’
লুৎফর হাসান বলেন, ‘বিষণ্ণ সকাল। ভালো থাকুন স্যার।’
দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
তাঁর সুরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারণ্য লাবণ্য’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’ ও ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।