বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দাফন কাল

আগামীকাল বুধবার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে দাফন করা হবে। এনটিভি অনলাইনকে এমনটিই জানিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ। বর্তমানে এই শিল্পী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের আফতাবনগরের বাসায় আছেন।
কুমার বিশ্বজিৎ জানান, আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মরদেহ রাখা হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেওয়া হবে তাঁকে। জোহর নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রথম জানাজা হবে। দুপুর ২টায় এফডিসিতে হবে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দুই বোন। একজন বিদেশে থাকেন। তিনি ফিরবেন আগামীকাল বুধবার। এ কারণেই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দাফন কাল করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
তাঁর সুরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারণ্য লাবণ্য’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’ ও ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।