‘বুলবুলের কাজ নিয়ে আর্কাইভ হলে তরুণরা গবেষণা করতে পারবে’

Looks like you've blocked notifications!

‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে অনেক কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে তিনি সব সময় কথা বলেছেন। তাঁর গান ও অন্য সব কাজ নিয়ে আর্কাইভ হওয়া প্রয়োজন। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব, তাঁর কাজগুলো সংরক্ষণ করতে। বুলবুলের কাজ নিয়ে আর্কাইভ হলে তরুণরা গবেষণা করতে পারবে।’ কথাগুলো বলেছেন প্রখ্যাত গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে এখন আছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া সেখানে উপস্থিত আছেন সাবিনা ইয়াসমিন, ফাহমিদা নবী, এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎ, রিজিয়া পারভীন প্রমুখ।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একজন নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি চৌকস দল জাতীয় পতাকাখচিত জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর ভেসে ওঠে।

পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সুরস্রষ্টার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার পরই সাধারণ মানুষ সারিবদ্ধভাবে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।

সবার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে রাখা হবে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি)। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা হবে ।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল গতকাল মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।

তাঁর সুরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারণ্য লাবণ্য’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’ ও ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।