কাশিমপুর থেকে সাবেক দুই আইজিপির কারামুক্তি

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশের সাবেক দুই আইজিপি মো. শহুদুল হক ও মো. আশরাফুল হুদা। ছবি : সংগৃহীত

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. শহুদুল হক ও মো. আশরাফুল হুদা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা মুক্তি পান।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ২-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, বুধবার রাতে আদালত থেকে তাঁদের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে আসে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক দুই আইজিপিকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতাকর্মী আহত হন।

গত বছরের ১০ অক্টোবর হামলা মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক) রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপির নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ৫২ আসামির মধ্যে অন্য মামলায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মামলার আসামি তারেক রহমানসহ পলাতক ১৮ জন।

ওই হামলা মামলায় আটজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন পুলিশের সাবেক তিন আইজিপি আশরাফুল হুদা (গ্রেনেড হামলার সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার ছিলেন), শহুদুল হক ও খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি খান সাইদ হাসান ও মো. ওবায়দুর রহমান, জোট সরকারের আমলে মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আবদুর রশিদ।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা হত্যা মামলায় দুই বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে হাইকোর্টে জামিন চান সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা ও মো. শহুদুল হক। হাইকোর্ট তাঁদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে গত সোমবার ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গতকাল বুধবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দেন চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান। এর ফলে পুলিশের সাবেক দুই আইজিপিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকে।