পড়ালেখার চাপে অভিভাবকরাও অসুস্থ!

Looks like you've blocked notifications!

পড়ালেখার চাপে কেবল শিশুরা নয়, অভিভাবকরাও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমন তথ্য জানিয়ে শিশু মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিভাবকরা এখন নিয়মিতভাবে চিকিৎসা নিতে তাদের কাছে আসছেন। শিক্ষাবিদরা বলছেন, পরীক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বাণিজ্য-এই দুইয়ের কারণে শিশুদের পড়ালেখার চাপ কমানো যাচ্ছে না।

ঢাকার মানসিক হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অনেক শিশু আসে সরাসরি মানসিক রোগ নিয়ে। আবার অনেক শিশু আসে আচরণগত সমস্যা নিয়ে। আচরণগত সমস্যা নিয়ে আসা বেশিরভাগ শিশুর অভিভাবকরা বলছেন, পড়াশোনার চাপে তাদের সন্তানদের আচরণ স্বাভাবিক থাকছে না। কেউ কেউ বলছেন, তাদের শিশুরা সেভাবে পড়াশোনা করতে চায় না যেভাবে তারা চান।

এসব অভিভাবকরা চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন,-পড়াশোনার চাপ কেবল সন্তানদের নয়, তাদেরও মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছে।

তবে মানসিক হাসপাতালে আসা অভিভাবকদের অনেকেই বললেন, তাঁরা শিশুদের পড়াশোনার ব্যাপারে চাপ দিতে চান না। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থাই এমন যেখানে পড়াশোনার চাপে পড়ে তাদের সন্তানদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশ হচ্ছে না।

শিশুদের এত ক্ষতি যেখানে হচ্ছে সেখানে পড়াশোনার চাপ কেন কমানো যাচ্ছে না? এর জন্য মূলত পরীক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাই  দায়ী এমনটা বললেন শিশুশিক্ষা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন এমন একজন।

পড়াশোনার চাপ না দিলেই বরং শিশুরা যে ভালো করে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ফিনল্যান্ড, যে দেশটি গ্লোবাল এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে শিশু শিক্ষার মানদণ্ডে বিশ্বে সবচেয়ে ভালো। দেখা গেছে, ফিনল্যান্ড শিশুদের স্কুলের বাইরে পড়ালেখার ব্যাপারে সবচেয়ে কম চাপ দেয়। অথচ বাংলাদেশে শিশুরা স্কুলের বাইরেই যেন বেশি ব্যস্ত থাকে কোচিং আর প্রাইভেট পড়া নিয়ে। বাংলাদেশের একটি গবেষণা বলছে, পড়াশোনার এই চাপের সাথে সরাসরি পরীক্ষা আর বাণিজ্যের যোগসূত্র রয়েছে।

শিশুদের অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপের সঙ্গে যে অনৈতিক বাণিজ্য জড়িয়ে আছে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে