অর্থপাচারের অভিযোগ

ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের। ছবি : সংগৃহীত

প্রায় ৪২২ কোটি টাকা পাচারের মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, আজ ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদেরকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এম এ কাদেরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আবুল কালাম আজাদসহ একাধিক আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে দুপুর ২টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের গারদখানায় এম এ কাদেরকে হাজির করে পুলিশ। তবে রিমান্ডের কোনো আবেদন না থাকায় তাঁকে আদালতে তোলা হয়নি। তাঁর অনুপস্থিতিতে আইনজীবীরা জামিনের শুনানি করেন।

শুনানির প্রথমে এম এ কাদেরের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ মামলাটি সঠিকভাবে দায়ের করা হয়নি। আসামি এম এ কাদের বাংলাদেশে নিয়মিত কর পরিশোধ করেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১৮ হাজার কর্মী চাকরি করেন। প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য এ মামলাটি করা হয়েছে।

আইনজীবী শুনানিতে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত না করেই মামলা করা হয়েছে, যা আইনগতভাবে করা হয়নি। এ ছাড়া আসামি জামিন পেলে যেকোনো সময় আদালতে হাজিরা দিবেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে সব কর্মচারী অনাহারে থাকবেন।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলাটি সঠিক নিয়মে করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পরে তদন্ত হয়। এখানে অনিয়মের কিছু হয়নি। আসামি এ মুহূর্তে জামিন পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে। তাই তাঁর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার নিবেদন করছি। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গককাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সদস্যরা।

নথি থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাজধানীর চকবাজার থানায় রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্টস লিমিটেড ও ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমেটেডের পক্ষ থেকে প্রায় ৯১৯ কোটি টাকা পাচারের দায়ে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজসহ মোট ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আবদুল আজিজ সম্পর্কে এম এ কাদেরের ভাই। তিনি রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান।

তিনটি মামলার মধ্যে আজ একটি মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যানকে আটক দেখানো হয়েছে এবং বাকি দুটি মামলায় পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার দেখানো বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া এ সব মামলায় পর্যায়ক্রমে রিমান্ডের আবেদন করবেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।