গণফোরামের নির্বাচিত সাংসদরা সংসদে যোগ দেবেন না : ড. কামাল

Looks like you've blocked notifications!
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঘণ্টাব্যাপী স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। ছবি : পিবিএ

গণফোরামের নির্বাচিত দুই সাংসদকে সংসদে যোগ না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘সংসদে যোগ না দিতে দলের সিদ্ধান্ত আমরা পরিষ্কারভাবে তাদের জানিয়েছি এবং তারা সংসদে যোগ দেবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে নিজের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চা চক্রে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জোটের পক্ষ থেকে এটাকে (চা চক্র) ‘তামাশা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছে। অনেকেই নিহত হয়েছে। অনেক প্রার্থীও আহত হয়েছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রের আয়োজন তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। সুতরাং, আমরা মনে করি চা চক্রে যোগ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঘণ্টাব্যাপী স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : পিবিএ

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। কর্মসূচিগুলো হলো আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে গণশুনানি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ সংসদের প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হবে। ওই দিন বিকেলে এক ঘণ্টা জোটের শীর্ষ নেতারা কালো ব্যাজ ধারণ করে অবস্থান নেবেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তবে গণশুনানির স্থান এখনো ঠিক হয়নি।