ভৈরব রেলওয়ে জংশনে বেড়েছে রাজস্ব আদায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথের টঙ্গী-ভৈরব অংশ ডাবল লাইন হওয়ায় কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজার রেলওয়ে জংশনে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে।
ডাবল লাইনের ফলে এ পথে আগের চেয়ে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া সহজেই ভৈরবে উৎপাদিত জুতা ও হাওরাঞ্চলের মাছ হবিগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চৌমুহনী, দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহনের ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে পারসেল খাতে রাজস্ব আয়।
ভৈরব রেলওয়ে জংশন সূত্র জানায়, ডাবল লাইন চালু হওয়ার পর জংশন থেকে যাত্রী ও পারসেলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে চলতি বছরের প্রথম মাসেই রাজস্ব আদায় হয়েছে এক কোটি ছয় লাখ ৮০ হাজার ৫৫৩ টাকা। যেখানে ডাবল লাইনের পূর্বে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে (১২ মাসে) এর পরিমাণ ছিল মাত্র সাত কোটি ১০ লাখ তিন হাজার ১৬৯ টাকা।
পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ডাবল লাইন উদ্বোধনের পরের বছর ২০১৬-১৭ অর্থবছরেই এ আয় বেড়ে হয় নয় কোটি ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা আরো বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৬ টাকায়। এ বছর রাজস্ব আদায় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভৈরব রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘মানুষ এখন ট্রেনমুখী। ডাবল লাইন হওয়ার পর ট্রেনগুলো যথাযথ সময়সূচি মেনে চলাচল করায় সাধারণ মানুষ ট্রেনমুখী হয়েছেন। আগে একটি ট্রেন আরেকটি ট্রেনকে ক্রসিং করার ফলে বিলম্ব হতো। ডাবল লাইন হওয়ার পর সে বিড়ম্বনা আর নেই। তাই দিন দিন ট্রেন ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসছে। আগামীতে ভৈরব রেলওয়ে জংশনের রাজস্ব বৃদ্ধি আরো বাড়বে বলে আমরা আশা করি।’
জংশন সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে যাত্রী ও পারসেল খাতে রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৯২ লাখ ৬২ হাজার ৪৪ টাকা। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৬, মার্চে এক কোটি নয় লাখ ৮১ হাজার ৯৩০, এপ্রিলে ৯৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৮২, মে মাসে ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৮৬, জুনে ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৪৫১, জুলাইতে এক কোটি চার লাখ ৯৩ হাজার ৭০৬, আগস্টে এক কোটি তিন লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৩, সেপ্টেম্বর মাসে ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৭, অক্টোবরে এক কোটি সাত লাখ ৬১ হাজার ৫৬১, নভেম্বরে ৯৮ লাখ আট হাজার ১৬৯ ও ডিসেম্বর মাসে ৯০ লাখ ৮১ হাজার ২৩৯ টাকা রাজস্ব আদায় হয়।