তন্ত্রসাধনার জন্য মৃত নবজাতকের মাথা বিছিন্ন, পাঁচজন কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর শ্যামপুরে মৃত নবজাতককে শ্মশান থেকে তুলে মাথা বিচ্ছিন্ন করার মামলায় রুদ্র কুর্মী (১৮) নামের একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপরদিকে চারজন অপ্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ায় তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীব এ আদেশ দেন।

সংশোধানাগারে যাওয়া অপর চার আসামি হলো শুভংকর চন্দ্র রায় (১৫), বিপুল দাস (১৪), রনক দে (১৩), বিজয় দে (১৬)।

আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমিরুল ইসলাম তাদের হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি আসামিরা অমাবস্যার রাতে নবজাতকের মরদেহ উত্তোলন করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে শ্মশানে পূজা দেয়।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ওই নবজাতককে আবার শ্মশানে মাটি চাপা দেওয়া হয়। তখন পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নথি থেকে জানা যায়, গত সোমবার গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে ঠাঁটারিবাজার এলাকার এক হিন্দু দম্পতির ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জন্মের আধা ঘণ্টা পর ওই নবজাতক হাসপাতালেই মারা যায়।

এরপর বিকেল ৩টার দিকে পোস্তগোলা জাতীয় শ্মশান ঘাটে ওই নবজাতককে মাটিচাপা দেওয়া হয়। রাত আনুমানিক ২টার দিকে ১৪-১৫ বছরের কয়েকজন হিন্দু তরুণ শ্মশানে পূজা দেওয়ার জন্য মাটি চাপা দেওয়া ওই নবজাতকের মরদেহ উত্তোলন করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে।এই ঘটনায় শ্মশানের মোহর পলাশ চক্রবর্তী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।