ভৈরবে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশ সদস্য আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুরাদ মিয়াকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে ভৈরব বাজারের জামে মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মুরাদের বাড়ি ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায়।
পুলিশ জানায়, ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভৈরবের মেঘনা নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর নিচে এক পথচারীকে আটক করে ছিনতাইকারীরা। এ সময় ওই পথচারীকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলের অদূরে রেলসেতু পাহারায় থাকা পুলিশ ব্যারাকের সদস্য আরিফুর রহমান ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে অপর পুলিশ সদস্যরা গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য ও পথচারীকে উদ্ধার করে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক পুলিশ সদস্য আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। ঘটনার তিনদিন পর ৪ অক্টোবর বুধবার রাতে আরিফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোহাগ মিয়া (৩৫) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মুরাদ মিয়া এলাকায় আসে। এই সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শরীফুল ইসলাম ও এসআই মাহমুদুল্লাহ গতকাল বুধবার রাতে ভৈরব বাজারের জামে মসজিদের সামনে থেকে মুরাদকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, মুরাদের বিরুদ্ধে ভৈরবসহ বিভিন্ন থানায় দুটি খুনের মামলাসহ একাধিক ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। আমরা তাঁকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড আবেদন করব। রিমান্ডে হয়তো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন।