রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা চেয়ে ভারতের কাছে নতুন প্রস্তাব

Looks like you've blocked notifications!
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন চার দিনের ভারত সফর শেষে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা চেয়ে ভারতের কাছে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। চার দিনের ভারত সফর শেষে আজ শনিবার ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি একথা জানান। বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন নিয়ে আশাবাদী বলেও জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরেই ভারত যান ড. এ কে আবদুল মোমেন। চার দিনের এই সফরে তিনি বৈঠক করেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে। সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও।

শনিবার বিকেলে ঢাকায় ফেরার পর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ইতিবাচক পরিবেশে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন বলেও জানান ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রস্তাব আমি যেটা দিয়েছি, রোহিঙ্গাদের কিভাবে প্রত্যাবাসন করা যায়। কত তাড়াতাড়ি হয়, তার জন্য আমি তাদের সাহায্য প্রার্থনা করেছি। তাদের বলেছি, আপনাদের সাহায্য আমরা চাই। তাদের কাছে আমি সাহায্য চেয়েছি তারা বের করবে কিভাবে।

আমাদের সকলের সাথে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং অন্যান্য রাষ্ট্র এগুলোর স্বার্থে, আমাদের এই রিজিয়নের সবার স্বার্থে এই সমস্যান দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। এই জিনিসটাই আমি প্রস্তাব দিয়েছি।

ভারত বাংলাদেশের নাগরিক ছাড়া আর কাউকেই বাংলাদেশে পাঠাবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, এরকম কেউ ভারতে থাকলে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে। তিস্তাসহ ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দুইপক্ষই আশাবাদী বলেও জানান তিনি।

আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ বড় বড় সমস্যার সমাধান করেছে। তারা আশ্বাস দিয়েছে, সেটার ওপর আমি যথেষ্ট বিশ্বাসী। তিস্তার পানি যেটা বললেন, শুধু তিস্তা নয়, অনেক নদীই তো আমাদের আছে, এটা নিয়ে শুধু একা একা, এই নদী নিয়েই বলছেন কেন? ৫৪টি নদী আমাদের আলোচনায় আছে। আমরা সবগুলোরই আস্তে আস্তে সমাধান করব। আমরা অনেক দূর সমাধান করে ফেলেছি। এখন সময় যাচ্ছে, হয়ে যাবে। এগুলো নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ভারত সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।