আটক মাদকাসক্তদের ছাড়াতে পুলিশকে মারধর
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে যাত্রাপালা চলছিল। সেখানেই গাঁজা খেয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল একাধিক যুবক। তাদেরই দুজনকে আটক করে পুলিশ। হাতকড়া পরিয়ে ঘটনাস্থলেই ওই দুজনকে বসিয়ে রাখে পুলিশ। খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আরো একদল যুবক। পুলিশের চার সদস্যকে মারধর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় আটক দুজনকে!
গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বোসখালী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে তপন কুমারের বাড়িতে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে যাত্রাপালা চলছিল। এতে পূজা অনুষ্ঠান ও যাত্রাপালা পণ্ড হয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আটক ব্যক্তিদের ছাড়াতে আসা যুবকরা নিজেদের যুবলীগ কর্মী বলে পরিচয় দেয়।
পুলিশ জানায়, যাত্রাপালা চলার সময় তারানিপুর গ্রামের হাসানুর রহমান, শাহিনুর রহমান, রেজাউল, বাবুসহ বেশ কয়েকজন যুবক গাঁজা খেয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। এ সময় পুলিশ হাসানুর ও শাহিনুরকে আটক করে হাতে হাতকড়া পড়ায়। ওই দুজনকে ঘটনাস্থলেই বসিয়ে রাখা হয়।
খবর পেয়ে নিকটস্থ ভেটখালী বাজার থেকে একদল যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজেদের যুবলীগ নেতা পরিচয়ে পুলিশের ওপর চাপ দেয় তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এ নিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। কিন্তু পুলিশ তাদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে ওই যুবকরা লোহার রড ও টর্চ দিয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হাইকে সজোরে আঘাত করে হাসানুর ও শাহিনুরকে জোর করে ছিনিয়ে নেয়। এতে বাধা দিতে গিয়ে আহত হন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মিজানুর, কনস্টেবল শাহজালাল ও গ্রাম পুলিশের সদস্য আবু মুসা। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। শ্যামনগর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রাতেই রেজাউল ও বাবু নামের দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বিষয়টি জানিয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, ‘অন্যদের আটক করার চেষ্টা করছি আমরা।’ এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।