১৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি পাবনার অপহৃত কলেজ ছাত্রী
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার এক কলেজছাত্রীকে (১৬) অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের ১৭ দিনেও পুলিশ ছাত্রীটিকে উদ্ধার করতে পারেনি। তার পরিবার পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাঁথিয়া মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ওই ছাত্রীকে বেশ কিছুদিন ধরে শাহজাদপুর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ (২০) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এতে সাড়া না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাঁথিয়া উপজেলার ইছামতি নদীর সেতুর কাছ থেকে ছাত্রীকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জোর করে তুলে নিয়ে যান আব্দুল্লাহ। এর পর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
এ ঘটনার পর ছাত্রীটির বাবা আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে শাহাজাদপুর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামে আব্দুল্লাহর বাড়িতে একাধিকবার যান। সেখানে গিয়ে মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য বার বার অনুনয়-বিনয় করেন। কিন্তু আব্দুল্লাহর পরিবারের লোকজন তাতে সাড়া না দেওয়ায় গত ৩০ জানুয়ারি তিনি একটি অপহরণ মামলা করেন।
পুলিশ আব্দুল্লাহর ভাই বিপুলকে (১৮) গ্রেপ্তার করতে পারলেও প্রধান আসামি আব্দুল্লাহকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এছাড়া অপহরণের প্রায় ১৬ দিন পার হলেও অপহরণের শিকার ছাত্রীটিকে পুলিশ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।
অপহৃত ছাত্রীর বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমার মেয়েটিকে দিনে-দুপুরে অপহরণ করা হয়েছে। এখনো ওর কোনো খোঁজ জানি না। মেয়ের অবস্থা নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে আমাদের। সে বেঁচে আছে কিনা জানি না। আমি আমার মেয়েকে সুস্থভাবে ফিরে পেতে কতো জায়গাতেই না ধরনা দিচ্ছি। কোথাও তো পাচ্ছি না। আমি প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আসামিদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায়। এর পরেও আমরা শাহজাদপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে আমরা এক আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছি।’