ফরিদপুরে পরিবহন ব্যবসায়ীসহ দুজন খুন

Looks like you've blocked notifications!

ফরিদপুরে পৃথক ঘটনায় পরিবহন ব্যবসায়ীসহ দুজন খুন হয়েছেন। আজ রোববার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নগরকান্দা উপজেলার শংকরপাশা এলাকা থেকে ব্যবসায়ী কৃষ্ণচন্দ্র পোদ্দারের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে সদরপুর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাই নাঈম মাতুব্বর (১৭) নিহত হয়েছে।

কৃষ্ণচন্দ্র পোদ্দারের বাড়ি জেলার ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী গ্রামে। তিনি ফরিদপুর-আলফাডাঙ্গা রুটে চলাচলকারী ভোরের আলো পরিবহনের মালিক। তিনি নিজেই ওই বাসের সুপারভাইজারের কাজ করতেন। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের পর তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ ভোরে কৃষ্ণ বাড়ি থেকে ফরিদপুরে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টার দিকে মহাসড়কের শংকরপাশা এলাকায় তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী স্বজনদের খবর দেয়। তাঁরা এসে লাশটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে নগরকান্দা থানার পুলিশ ভাঙ্গা থানার পুলিশের সহযোগিতায় লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

পরিবারের কয়েকজন সদস্য জানান, চুমুরদী থেকে ট্রাকে করে ভাঙ্গার মোড় এলাকায় যান কৃষ্ণ। সেখান থেকে ফরিদপুরে যাওয়ার উদ্দেশে তিনি একটি মাইক্রোবাসে ওঠেন। পরে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় শংকরপাশা এলাকায় তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক মো. আতিয়ার রহমান জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে জেলার সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে বড় ভাই নজরুল মাতুব্বরের (২৫) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাই নাঈম মাতুব্বর নিহত হয়েছে। সদরপুর থানা পুলিশ আজ সকালে লাশটি উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসী নজরুল মাতুব্বরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝগড়ার একপর্যায়ে ছোট ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন বড় ভাই। এতে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।