দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকা চান খাদ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার নওগাঁর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি : এনটিভি

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আর এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং ন্যায়নীতি, সততা ও নিষ্ঠার কারণে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর দেশকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সরকার যে উদ্যোগগুলো হাতে নিয়েছে, দুর্নীতি যেন সেগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে।’

আজ রোববার বেলা ১১টায় নওগাঁর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাসিক উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইকবাল হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুল হক, নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার, সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মুনির আলী আকন্দ প্রমুখ। সভায় জেলার সব কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তাসহ ১১টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই দেশ অর্জন করেছি, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে বর্তমান সরকারের যে নির্বাচনী ইশতেহার, তা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

এরই মধ্যে বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোলমডেল হয়েছে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো বলেন, ‘আমাদের উন্নয়নে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করতে চায়। এই উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে। আমরা এরই মধ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল এমডিজি অর্জন করেছি। এখন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এসডিজি অর্জনে পথে হাঁটতে শুরু করেছি।’