মমতাজ উদ্দিনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন

Looks like you've blocked notifications!
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন আর নেই। আজ রোববার ভোরে ভোর ৫টায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মমতাজ উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাঁরা মরহুমের রুহের শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

স্বজনরা জানান, মমতাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার সকালে তাঁকে বগুড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানেই ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মমতাজ উদ্দিন ১৯৬৯ সালে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরশাদের শাসনামলে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

মমতাজ উদ্দিন বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একাধিকবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ে একাধিকবার পরিচালক নির্বাচিত হন। তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘প্রভাতের আলো’র প্রকাশক ও সম্পাদক, বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য এবং বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ছিলেন।

আজ সকালে মমতাজ উদ্দিনের লাশ বগুড়া প্রেসক্লাবে আনা হলে সেখানে সাংবাদিক নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তাঁর লাশ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আনা হয়। বাদ জোহর স্থানীয় আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এরপর শাখারিয়া ইউনিয়নে বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা শেষে নিজ গ্রাম কদমপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।