চট্টগ্রামে বিমান ছিনতাইকারী নিহত, যাত্রীরা নিরাপদে
দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ছিনতাই ঘটনার অবসান ঘটেছে। সন্দেহভাজন ছিনতাইকারী নিহত হয়েছেন। ওই উড়োজাহাজে থাকা ১৪৮ জনের সবাই নিরাপদে আছেন।
আজ রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। বিকেল ৫টা ৪১ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে অবতরণ করে উড়োজাহাজটি। পরে এর দুবাই যাওয়ার কথা ছিল।
অপারেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে বিমান বাহিনী জানতে পারে যে এটা হাইজ্যাক হয়েছে। বিমানটি ৫টা ৪১ মিনিটে অবতরণ করে।’ তিনি জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে অভিযান শুরু করে কমান্ডো দল।
মেজর জেনারেল মতিউর রহমান জানান, ছিনতাইকারীর বয়স ২৫-২৬। ব্যক্তিটি বাংলাদেশি। নিজের নাম মাহাদি বলে জানায়। ওই ব্যক্তির কাছে একটি পিস্তল ছিল।
মতিউর রহমান বলেন, ‘নিবৃত্ত করার জন্য কমান্ডো বাহিনী প্রথমে তাকে (ছিনতাইকারী) গ্রেপ্তার হওয়ার আহ্বান জানায়। কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর স্বাভাবিক অ্যাকশন যেটা সেটা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে ছিনতাইকারী গোলাগুলিতে প্রথমে আহত ও পরে আমরা জেনেছি সে ইতিমধ্যে মারা গেছে। এ ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি। বিমানে ১৩৪ জন যাত্রী, ১৪ জন ক্রুসহ মোট ১৪৮ ছিলেন। তাদের সবাই অক্ষত অবস্থায় বিমান থেকে বের হয়ে এসেছে। বিমানের কোনো ক্ষতি হয়নি। বিমান তল্লাশি করে বিমানটিকে চলাচল বা উড়ার জন্য নিরাপদ ঘোষণা করা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মতিউর রহমান বলেন, ‘এ অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু কথা হয় সে শুধু একটা দাবি উপস্থাপন করে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্ত্রীর সাথে কথা বলতে চায়।’
সাংবাদিকের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, ‘তার (ছিনতাইকারীর) অনেক ডিটেইল পাওয়া যাবে। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বের করা হবে। আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সে কীভাবে প্রবেশ করেছে তা বের করা হবে।’
অস্ত্রধারী ব্যক্তি প্রসঙ্গে মতিউর রহমান বলেন, ‘বিমানের মধ্যে আহত হয়েছে। পরে মারা গেছে।’
বিমানবন্দরের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মতিউর রহমান বলেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছুক্ষণের মধ্যে তা স্বাভাবিক হবে।’