তারানা হালিমের উপলব্ধি

যদি তুমি তেল মার-তবে তুমি বেশ

Looks like you've blocked notifications!

সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম নিজের ফেসবুক পেজে ‘জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত কিছু উপলব্ধি’র কথা লিখেছেন। সেখানেই তিনি জানালেন মাঝে মাঝে ওই পেজে উপলব্ধির বিষয় ‘শেয়ার’ করবেন। আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এসব কথা লেখেন তারানা হালিম।

তারানা হালিম লেখেন,

‘আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত কিছু উপলব্ধি, ভাবছি আজ থেকে মাঝে মাঝে আমার পেইজএ শেয়ার করবো-।

যদি তুমি তেল মার-তবে তুমি বেশ,
যদি তুমি সত্য বল-তবে তুমি শেষ।[সংগৃহীত]

তারপর ও সত্য বলবোই।’

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েও পাননি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্যও ফরম সংগ্রহ করেননি তারানা হালিম। তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি।

এ ব্যাপারে গত ১৯ জানুয়ারি ফেসবুকে তারানা হালিম লেখেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ,আমার নেত্রী আমাকে এই বয়সেই দু'বার এম পি ও একবার প্রতিমন্ত্রী করেছেন। এক জীবনে এটি অবশ্যই বড় প্রাপ্তি। তার চেয়েও বড় প্রাপ্তি আমি দুইটি মন্ত্রণালয়ে সততা আর দক্ষতার সাথে বিরামহীন কাজ করেছি। সততা ও নীতির প্রশ্নে, জনগনের কল্যানে কখনো আপোষ করিনি, তাই মানুষও ভালবেসেছে অকুন্ঠভাবে,আমার বড় প্রাপ্তি এটিও। পদ-পদবী অস্থায়ী,এটি সবসময়ই বলেছি। দু' বছর টেলিকমে ও এক বছর তথ্য মন্ত্রণালয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে মাথা উঁচু করে বেরিয়ে আসতে পেরেছি, এও বিশাল প্রাপ্তি। মন্ত্রীর শপথ বাক্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করে গেছি- এ আমার আত্মতৃপ্তি। 
আমি আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আপনাদের আস্থাকে সমুন্নত রাখতে পেরেছি।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের মনোনয়ন ফরম নিয়েছি,কি নেইনি,তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বলতে চাই, আমি সংরক্ষিত মহিলা আসনের মনোনয়ন ফরম নেইনি। 
সেই ছাত্র বয়স থেকে রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ প্রতিষ্ঠা ও মানুষের জন্য ভালো কাজ সৎ ভাবে করে যাবার জন্য,পদ পদবী সহায়ক হতে পারে,অত্যাবশ্যক নয়। আমি আছি, ছিলাম, থাকবো- দলের কাজে আপনাদের পাশে।

আমি সব সময় অন্তরে ধারণ করি যে সততা আর কর্মদক্ষতার মৃত্যু হলে, মানুষের বেঁচে থাকার মানে হয় না। 
আপনাদের দোয়ায় আমার সততা ও কর্মদক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি, হবেও না, তাই আমি গর্বিত বিদায় ক্ষনেও।’

২০০৯ সালে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তারানা হালিম। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদেও সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তারানা হালিম। ওই সময় মোবাইল সিম বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত কাজেও তাঁর তৎপরতা চোখে পড়ে।

গত বছর ১১ মে যখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। তাঁর আগেই তাঁকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ নিয়ে তখন তিনি অসন্তোষও প্রকাশ করেন।   

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ (দেলদুয়ার-নাগরপুর) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তারানা। তবে তিনি তা পাননি।