২০০১ সালের চেয়ে ভালো নির্বাচন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!
আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন ২০০১ সালের চেয়ে ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘তুলনা করেন, ২০০১ সালে কী হয়েছিল? ওটা তো একেবারেই ভোটারশূন্য একটা নির্বাচন ছিল। সেই নির্বাচনের মেয়রও ইলেকটিভ মেয়র। এবং নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে আরো তিন বছর বেশি সময় তিনি মেয়র পদে ছিলেন, আট বছরেরও বেশি।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এই বিষয়গুলো ওইভাবে না দেখে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের বিষয়টা দেখতে হবে। ডেমোক্রেসি তো রাখতে হবে, নির্বাচনী প্রক্রিয়াও থাকতে হবে, সংবিধানও চলবে। নিয়মকানুন তো জলাঞ্জলি দেওয়া যাবে না। নির্বাচনটা বন্ধ থাকার চেয়ে নির্বাচনটা হয়েছে। ইলেকশন তো একটা হয়েছে।’

শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা কাউন্সিলর পদে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত করে দিলে এখানে একটা মারামারির পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সংঘাতময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেটা কিন্তু হয়নি। ইলেকশনটা মোটামুটি শান্তিপূর্ণ একটা ইলেকশন হয়েছে। এখানে বড় একটি দল জয়েন করেনি। তা ছাড়া বৈরী আবহাওয়া ছিল, ছুটির কারণে অনেকেই বাড়িতে চলে গেছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘চার বছর পর এই উপনির্বাচন। এটা পরিপূর্ণ কোনো নির্বাচন নয়। এসব কিছু বিবেচনা করতে হবে। যাঁরা এটা নিয়ে সমালোচনা করেন, তাঁদের বলব, ২০০১ সালে ঢাকা সিটি ইলেকশনে একজন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, সাদেক হোসেন খোকা। তখন তো সেটা একেবারেই ভোটশূন্য নির্বাচন ছিল। ভোটকেন্দ্রে মানুষ ভোটার দেখেনি। তার পরও ভোটে এগিয়ে ছিলেন।’

এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে তো জোর করে ইলেকশন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তারা নিজেরাই নির্বাচনে আসেনি। এখন তারা না এসে সমালোচনা করলে তো হবে না। তারা নিজেরা এসে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করত তাহলে একটা কথা ছিল। বিএনপির যাঁরা এই সমালোচনা করেন, তাঁদের আমি বলতে চাই, আপনাদের কি মনে আছে, ২০০১ সালে এই সিটিতে মেয়র কীভাবে নির্বাচিত হয়েছিল? কতজন ভোট দিতে এসেছিল?’

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভোট হয়েছে। রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম। ঢাকা উত্তরে মোট কেন্দ্র ১ হাজার ২৯৫টি। এসব কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন মোট ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।

অন্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিবি) শাহিন খান পেয়েছেন আট হাজার ৫৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন আট হাজার ৬৯৫ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহিম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০ ভোট।