সাত জেলে-মাঝি গুলিবিদ্ধ, ১০ জেলে অপহৃত
কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলারে গণডাকাতি করেছে জলদস্যুরা। এ সময় তিনটি ট্রলারে তাদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সাত জেলে ও মাঝি। এ ছাড়া ট্রলারসহ ১০ জন মাঝি-জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা।
ছয় জেলেকে চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত জেলেরা হলেন ভোলার মন্নান মাঝি, আমির হোসেন ও আছন আলী এবং ভাণ্ডারিয়ার শাহ আলম, কাইউম ও ফয়সাল। এর মধ্যে আছন আলী ও ফয়সালকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর গুলিবিদ্ধ মনসুরকে কোথায় নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘একজনের গুলি আমরা বের করতে পেরেছি। দুজন গুলিবিদ্ধ হলেও তা শরীরে নেই। গুলি বের হয়ে গেছে। আরেকজনের পশ্চাৎদেশে গুলিবিদ্ধ হয়। আমরা সেটি বের করব।’
কুয়াকাটার আলীপুর বন্দর মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির আনসার মোল্লা জানান, সোমবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সাগরে ডাকাতি চালায় জলদস্যুরা। সন্ধ্যায় জলদস্যুরা তিনটি ট্রলারে হামলা চালায়। গুলিবিদ্ধ হওয়া ছয় জেলেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় আলীপুর বন্দরে আনা হলে তাঁদের কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলায় আক্রান্ত ফারুক মাঝি জানান, মনসুর নামে আরেক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে কোথায় আছেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি। একই সময়ে তিন জেলে নয়া মিয়া, আবুল কালাম ও আলামিনকেসহ এফবি মার্জিয়া নামের ট্রলারটি নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। সোমবার বিকেলেও আরো কয়েকজন মাঝি-জেলেকে সাগর থেকে অপহরণ করে জেলেরা।
কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঞ্জয় মণ্ডল জানান, সাগরে গুলিবিদ্ধ ছয় জেলেকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার (দক্ষিণ) ক্যাপ্টেন কাওসার আলম জানান, খবর পাওয়ার পর থেকে পাথরঘাটা ও নিজামপুর স্টেশনের দুটি টিম সাগরে টহল দিচ্ছে। বিভিন্ন বোটও চেক করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে।