৩০ ডিসেম্বর চরম বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে : সুজন

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি : এনটিভি

২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি চরম বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের পাঁচ জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক পরিকল্পনা সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বদিউল আলম। সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজনের ময়মনসিংহ শাখার আহ্বায়ক কাজল কোরাইশী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সুজন সম্পাদক আরো বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী অবস্থাটা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে। তারই প্রেক্ষাপটে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো, এটা তার প্রতিফলন।’

বদিউল আলম আরো বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র যে নজরদারিতে থাকার প্রয়োজন, সে নজরদারি কাঠামো ভেঙে গেছে। আমাদের তিনটি বিভাগ আছে। একটি হলো সংসদ, একটি হলো নির্বাহী বিভাগ, আরেকটি হলো বিচার বিভাগ। এদের উপর কতগুলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান নজরদারি করবে। একই সাথে কতগুলো বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান আছে, দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশন এরাও এসব প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি করবে। আর নাগরিক সমাজ নজরদারি করবে সবার উপর। সবাই যাতে তাঁদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে এবং তারা যাতে কোনোরকম অন্যায় কাজে লিপ্ত না হয়, নাগরিক অধিকার যাতে কোনোভাবে ক্ষুণ্ণ না হয় এবং এ সব প্রতিষ্ঠান যাতে কার্যকর হয়। এ কাজটি করার চেষ্টাই আমরা করছি।’

সুজন একটি নির্দলীয় সংগঠন উল্লেখ করে বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা কখনোই কারো পক্ষ নই। আমরা জনগণের পক্ষে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার পক্ষে এবং একই সঙ্গে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটা কার্যকর করার পক্ষে।’

এসব বিষয়ে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বলেন, ‘আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে নাগরিকদের সচেতনের জন্য জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। এবং নাগরিক সমাজের এই ভূমিকা পালন করা অপরিসীম। আমরা সেই ভূমিকাটাই পালন করার চেষ্টা করছি। আমরা নাগরিকদের জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। তাদের অধিকার সচেতন করার চেষ্টা করছি। তাদের দায়িত্ববোধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছি।’