সত্য হচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে রকম নির্বাচন হয়নি : সিইসি

Looks like you've blocked notifications!

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘আমরা যে রকম সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সে রকম নির্বাচন করতে পারিনি। ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচনের আগে আমি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছি, নির্বাচনে কোনো থ্রেড আছে কি না, নির্বাচন অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা কী—এসব প্রশ্নে অনেকেই আমাকে থ্রেড আছে কি নেই, তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তবে সত্য হচ্ছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে রকম নির্বাচন হয়নি, যে রকম সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা চেয়েছি।’

নির্বাচন কমিশনের প্রধান আরো বলেন, ‘প্রশাসনের কর্মকর্তারা কেবল নির্বাচনের সময় কয়েক দিনের জন্য ইসির আওতাভুক্ত হয়। নির্বাচন শেষে তাঁরা স্ব-স্ব দায়িত্বে ফিরে যান। এর ফলে নির্বাচন নিয়ে ইসির কোনো বোঝাপড়া করতে চাইলে প্রায়ই তা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় ইসির নিজস্ব কর্মকর্তারা নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্বে থাকলে দায়বদ্ধতা অনেক বাড়বে। নির্বাচনও অনেক ভালো হবে। এ কারণে এবারের উপজেলা নির্বাচনে আমরা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বেশি করে নিজস্ব কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছি।’

আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এমন কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদেরই নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্ব নিতে হবে। নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের দৃঢ়তা, নিষ্ঠা, সাহসিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যাঁরা উপস্থিত রয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই ওপর তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব বর্তেছে। আপনারা এই দায়িত্ব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করলে, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে পারলে ভবিষ্যতে সব নির্বাচনের সামগ্রিক দায়িত্ব আপনাদের হাতেই ন্যস্ত হবে।’

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘এ দায়িত্ব সঠিক ও দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করলে সামনে আমরা সব নির্বাচনের দায়িত্ব আপনাদের হাতে তুলে দেব। আর এর উল্টোটা হলে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপরই নির্ভর করতে হবে। এ রকম হলে দেখা যাবে, আপনারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পেছন পেছন ফাইলপত্র বগলদাবা করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে নিজেদের স্বার্থেই আপনাদের যোগ্যতা, দৃঢ়তা, সততা, সাহসিকতার সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে। সবাই এখনো প্রস্তুত হতে পারেননি। উপজেলা নির্বাচনে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করে নিন। দল, ব্যক্তি, প্রভাবশালীদের থ্রেট উপেক্ষা করে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করুন।'

সিইসি আরো বলেন, 'আমারা চাই না, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। তাই কেউ দায়িত্ব পালনে কোনো ত্রুটি করবেন না। নির্বাচনের মাঠে, দায়িত্ব পালনে আইনের কঠোর প্রয়োগ যেন হয়।'