নার্সকে ধর্ষণচেষ্টা, চিকিৎসক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : এনটিভি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক ক্লিনিক মালিক ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নার্সকে (১৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই চিকিৎসকের নাম মো. মাহাবুবুর রহমান। তাকে আসামি করে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর মা। মাহাবুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে।

গ্রেপ্তার হওয়া মাহাবুব নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত। এ ছাড়া ভাঙ্গায় তার মালিকানাধীন একটি ক্লিনিক রয়েছে, ঘটনার পর সেটি সিলগালা করে দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই নার্সকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

যৌন হেনস্তার শিকার নার্সের বাবা জানান, দুর্ঘটনায় স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে তার মেয়ে। নিজের ও সন্তানের খরচ চালাতে দেড় মাস আগে নার্সের কাজ নেয় স্থানীয় মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। গত সোমবার রাতে তার মেয়ে রাতের ডিউটি করতে হাসপাতালে যায়। এ সময় ওই হাসপাতালের মালিক ও চিকিৎসক মাহাবুব তাঁর মেয়েকে অজ্ঞান করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সকালে ক্লিনিকের কয়েকজন সহকর্মী তাকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হলে সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে আবারো উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওই দিন বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সারমিন সুলতানা জানান, যৌন হেনস্তার শিকার ওই নার্সের শরীর থেকে ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। পরীক্ষার ফল পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল ইসলাম জানান, মামলার আসামি মাহাবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে তার ক্লিনিক। তিনি আরো জানান, এর আগেও ওই ক্লিনিকের ভেতরে মাহাবুবের বিরুদ্ধে একাধিকবার নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।