কুমিল্লার মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

Looks like you've blocked notifications!

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ মামলায় জামিন পাওয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা নেই। কিন্তু তিনি মুক্তি পাবেন কি না, তা নির্ভর করছে সরকারের ওপর। আমরা আশা করছি, সরকার ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশিরুল্লাহ বলেন, আদেশের কপি পাওয়ার পর সরকারপক্ষ উচ্চ অদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নেবে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, কায়সার কামাল, মীর মোহাম্মদ হেলালুদ্দীন, আহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশিরুল্লাহ। এর আগে গতকাল শুনানি শেষে এ মামলার আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, ‘এই ঘটনায় খালেদা জিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কেননা তিনি ঘটনার সময় ঢাকায় নিজ বাসায় অবরুদ্ধ ছিলেন। এ মামলায় বাদীপক্ষ থেকে এখনো কোনো সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থতার মধ্য দিয়ে কারাগারে রয়েছেন। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং নারী হিসেবে তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য। জামিন পেলে তিনি দেশে থাকবেন। তাই খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া হোক।’

গত ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জেলা দায়রা জজ এ মামলায় আসামিপক্ষের করা জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করেন। ওই আদেশের বিপক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ডাকা অবরোধ চলাকালে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি (ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৪০৮০) বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে। মুহূর্তের মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সে সময় বাসের কয়েক যাত্রী জানালা দিয়ে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচতে পারলেও দগ্ধ হন অন্তত ২০ যাত্রী। এদের মধ্যে আটজন নিহত হন।

এ ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এম কে আনোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সালাউদ্দিন আহমেদ এবং মামলার প্রধান আসামি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের মার্চে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।