লিফট নিয়ে এবার কি টনক নড়বে আদালত কর্তৃপক্ষের

Looks like you've blocked notifications!
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার পুরাতন জেলা জজ ভবনের লিফট ছিঁড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর পড়ে আছে আহতদের জুতা, কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিস। ছবি : এনটিভি

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পুরাতন ভবনে লিফট ছিঁড়ে পড়ার ঘটনায় আইনজীবী, বিচারক ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের একটি লিফট যাত্রী নিয়ে পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে যায়। এতে ১০ জন আহত হন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই এনটিভি অনলাইনে ‘আদালতে লিফট আতঙ্ক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। আদালতের এই জরাজীর্ণ লিফট নিয়ে এর পরও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তাতে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। অনেকটা জোড়াতালি দিয়েই এগুলো চালানো হচ্ছে। তাহলে এবার কি দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের এতে নজর পড়বে? এই প্রশ্ন এখন সবার মাঝে।  

গত ৩ মার্চ সিএমএম আদালতে গিয়ে দেখা যায়, আদালত প্রাঙ্গণে জনস্রোত। ১০ তলা ভবনের লিফটে ওঠার জন্য লম্বা লাইন। লাইনের কারণে আদালতে উঠতে কারো কারো আধা ঘণ্টা পর্যন্ত লেগে যায়।

এ বিষয়ে আইনজীবী মাহফুজ জানান, ঢাকার সিএমএম আদালত মহানগরের সব থানা নিয়ে গঠিত। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ আদালতে  আসেন। আদালতের লিফটগুলোর খুবই বাজে অবস্থা। ধারণক্ষমতা ১০ জন হলেও অনেক সময় পাঁচজনও তুলতে চায় না। এ ছাড়া লিফটে উঠেই দরজা বন্ধ করার জন্য হাত দিয়ে চাপ দিতে হয়, না হলে লিফট চালু হয় না।

নাজিম (৩৫) নামের এক বিচারপ্রার্থী বলেন, ‘আদালতের লিফটের জন্য এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। না হলে সিরিয়াল পাওয়া যায় না। আর আদালতের সিঁড়ি তো খুবই চিকন। একসঙ্গে অনেক মানুষও উঠতে পারেন না। বেশি মানুষ হলে লিফটের লাইনে বা লিফটের মধ্যেই পকেটমার  হয়।’

লিফটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই কর্তৃপক্ষের সুনজর আনা উচিত বলে মন্তব্য করেন আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা।