আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
শনিবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় রেল স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পুনরায় চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। ছবি : এনটিভি

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় রেলওয়ে স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পুনরায় চালুসহ চার দফা দাবিতে দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

‘আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন রক্ষা সংগ্রাম কমিটি’র ডাকে আজ শনিবার সকাল ১০টায় এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় আলমডাঙ্গা শহরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। দাবিগুলো হলো প্রয়োজনীয় লোকবল পুনঃপদায়ন, ওভারব্রিজ নির্মাণ, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও স্টেশনটিকে বিশেষ শ্রেণিভুক্তিকরণ।

সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গণু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দীন আহমেদ, সুলতান জোয়ার্দ্দার, নূর মোহাম্মদ জকু, আনিসুজ্জামান মল্লিক, লিকায়ত আলী লিকু, মীর মহিদুল ইসলাম, হামিদুল আজম, আতিয়ার রহমান মুকুল ও সানমুন আহমেদ ডন প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে কমিটির আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান ফারুক দাবি আদায়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রথম দুইতলা বিশিষ্ট চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের কার্যক্রম সীমিত করা হয়। বাংলাদেশ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই স্টেশন থেকে দুজন স্টেশন মাস্টারসহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দুইজন বুকিং মাস্টার দিয়ে স্টেশনটির কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।

স্টেশন মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যত্র পদায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের রেলওয়ের লোকসান কমানোর অংশ হিসেবে দেশের ৫১টি রেল স্টেশনের সঙ্গে আলমডাঙ্গা স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিত করে আনা হয়।

আলমডাঙ্গা স্টেশনে মোট জনবলের পদ রয়েছে ১৩টি। সাতজন দিয়ে স্টেশনটি দীর্ঘদিন চললেও গত ৩০ জানুয়ারি পাঁচজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।