১২ মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সম্প্রচারে যাবে সব টিভি চ্যানেল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/03/11/photo-1552311635.jpg)
আগামী ১২ মের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার শুরু করবে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। আর ১৪ এপ্রিলের পর বিদেশি চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নতুন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিক প্রতিনিধিদের প্রথম বৈঠকে টেলিভিশন শিল্পের বিদ্যমান নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের একবছর পূর্ণ হবে আগামী ১২ মে। তার আগেই দেশি টিভি চ্যানেলগুলো দেশীয় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করবে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী ১২ মে নাগাদ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের সমস্ত টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ তিন মাস ফ্রি সার্ভিস দেবে। ১২ মে নাগাদ ফাইবার অপটিকগুলো সজীব ওয়াজেদ গ্রাউন্ডস্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখান থেকে আপলিংক হবে এবং ডাউনলিংক হবে। প্রথম তিন মাস ফ্রি দেওয়া হবে, এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কর্তৃপক্ষ চ্যানেল মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করবে।
এ ছাড়া ডিশ লাইনে দেশীয় চ্যানেলগুলো যেন সম্প্রচার শুরুর ক্রমানুসারে রাখা হয় সে ব্যাপারে ক্যাবল অপারেটরদের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আবারও নির্দেশনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অ্যাটকোর পক্ষ থেকে পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে সংলাপসহ ভিডিও কনটেন্ট সম্প্রচারে আপত্তি জানিয়ে সম্প্রচার নীতিমালায় এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচারের শুরু থেকে দেশীয় চ্যানেলগুলো পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করাতে চায় অ্যাটেকো।
অ্যাটকোর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমরা যেকটা চ্যানেল আছি, আমরা একটা বা দুটি বান্ডেলে খবর ও অনুষ্ঠান নিয়ে অথবা একই বান্ডেলে আমরা পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাই। কেবল অপারেটররা যেই সাবস্ক্রিপশন ফিটা দর্শকদের কাছ থেকে নেয়, তার থেকে অত্যন্ত যৌক্তিক একটা অংশ আমাদের দেওয়ার জন্য আবেদন করব।’
অনুমোদনহীন আইপি-টিভির নামে যেন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারেও তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।