‘লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে শুধু ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে’

Looks like you've blocked notifications!

শুধু ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে বিদেশে লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। সেই অর্থ পাচারকারীদের তালিকা চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই কথা জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, যথাসময়ে তালিকা না দিলে আইনগত কাঠামোর মধ্যে রাজস্ব বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বিনা বিচারে কারাবাস করা তরুণ জাহালমের বিষয়ে দুদক দায় এড়াতে চায় না জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে চলতি বছরে কমিশনের কৌশলপত্র নিয়ে গণমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্থাটি। অনুষ্ঠানে বক্তারা অর্থপাচার, সরকারি সেবা পেতে নাগরিকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে মতামত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক  সাইফুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় এবং জনগণের সম্পদ যারা লুট করে খায়, লোপাট করে আমার মনে হয় তাদের আগে চিহ্নিত করা দরকার। তাদের ধরা দরকার, আইনের আওতায় আনা দরকার।’

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘আমরা টেলিভিশনগুলো আপনাদের সাথে জয়েন্ট প্রোগ্রাম করতে চাই যে আমরা মানুষের কাছে কমপ্লেইন শুনতে চাই, এর ফলোআপ করতে চাই, যদি স্পেসিফিক কোনো বিষয়ের ওপর এবং সেটা টেলিভাইজ করতে চাই।’

এ সময় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অর্থপাচার রোধ ও পাচারকারীদের শাস্তির জন্য কাজ শুরু করেছে কমিশন। বিপুল অর্থ শুধু হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি রাজস্ব বোর্ডকে এ বিষয়ে সহায়তার আহ্বান  জানান।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। হুন্ডি দিয়া এত কোটি টাকা পাচার হয় না। পাচার হয়েছে শুধু ওভার ইনভয়েসিংয়ের কারণে। যেটি আমরা এনবিআরকে, উই আস্ক এনবিআর টু গিভ আস এ রিপোর্ট যে উনারা কতগুলো ফাইন করেছেন গত এক মাসে। উই মাস্ট হ্যাভ দিস রিপোর্ট। এবং রিপোর্ট না দিলে কী হবে দ্যাট ল ডিক্টেক্ট আস।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিনা বিচারে কারাবাস করা তরুণ জাহালমের বিষয়ে দায় এড়াতে চায় না দুদক। তদন্তে সংস্থাটির দোষ বের হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা জাহালমের বিষয়টি কী আসলে সেটি শেষ দেখার জন্যই আমরা ইনকোয়ারি কমিটি করেছি। এটি আরো ১০ দিন আমার মনে হয় ২০-২২ তারিখের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব। এটি সত্য যে জাহালমের কেস নিয়ে আমাদের কিছুটা পাবলিক ট্রাস্টের ঘাটতি হয়েছে। কারণ এ রকম কেস আমাদের গত ৫০ বছরে হয় নাই।’

দুর্নীতি শুধু দমন করে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয় জানিয়ে বক্তারা সর্বস্তরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।