এবার লাউড়েরগড়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করল বিজিবি

Looks like you've blocked notifications!
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় এলাকায় খেলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। ছবি : এনটিভি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফুটবল টুর্নামেন্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে ২৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন।

মাদকের ভয়াবহতা বোঝাতে এবং মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে আলোকিত সীমান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সীমান্তবর্তী এলাকার শিশুদের মাদক থেকে দূরে রাখতে এসব অনুষ্ঠান করা হয়।

বুধবার বিকেল ৩টায় লাউড়েরগড় সীমান্ত মাঠে আটটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, লাউড়েরগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফয়েজ আহমেদ সাহিদাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় লাউড়েরগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-০ গোলে সাহিদাবাদ সরকারি হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

এর আগে ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্দু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।

সিলেট বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক, চুরি, নানা অপকর্ম থেকে সীমান্তের মানুষকে দূরে রাখতে বিজিবি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর সীমান্তে মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান রুখতে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। তাই সীমান্তের মানুষকে সচেতন করতে আমরা এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি।

২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম বলেন, দ্বিতীয় দফায় আমরা সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছি। এইবার তাদের নিজেদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছি। আর সীমান্তের লোকজনকে সচেতন করতে আমরা শিশুদের বেছে নিয়েছি। কারণ তোমলমতি শিশুদের মাদকের ভয়াবহতা বোঝাতে পারলে মাদক পাচার ও এর অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব হবে।

পরে অতিথিরা খেলায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের খেলার সরঞ্জাম তুলে দেন।

এর পরে সীমান্তের স্থানীয় শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।