‘বাকশালের নির্বাচন ব্যবস্থা থাকলে এখন এত প্রশ্ন থাকত না’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সময়কার বাকশালের নির্বাচন ব্যবস্থা থাকলে এখন নির্বাচন নিয়ে এত প্রশ্ন থাকত না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নির্বাচন ব্যবস্থাকে সঠিক পথে রেখেছিলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তা ধ্বংস করে দেয়।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে মানুষের কল্যাণে যেকোনো কাজের প্রতি বঙ্গবন্ধুর বাবা-মার অবাধ প্রশ্রয়ে ছিলেন। তাই মানুষের ভালোবাসায় টুঙ্গিপাড়ার খোকা শুধু বাংলাদেশে নয়, আজ গোটা বিশ্বে সুপরিচিত। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি আর আইনি কাঠামো তৈরিতে বঙ্গবন্ধুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা ওঠে, বিরোধীদল বাকশাল বাকশাল বলে গালি দেয়। কিন্তু আজকে তারা যদি এটা চিন্তা করে, ওইদিন তিনি যে একটা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এমন একটি পদ্ধতি এনেছিলেন, যেখানে কেউ বেশি অর্থ ব্যয় করতে পারবে না। ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রচার নয়, সরকারিভাবে যে কয়জন প্রার্থী হবে, সবার নাম একটা পোস্টারে দিয়ে প্রচার করা হবে। যে ব্যক্তি যত বেশি জনগণের কাছে যেতে পারবে, সে নির্বাচনে জিতে আসবে। কাজেই জনগণের জন্য কতটা উপকারী ছিল, একদিন তা এ দেশের মানুষ বুঝতে পারবে।
ভাষা আন্দোলনসহ বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বারবার তাঁর অবদান মুছে ফেলার পাশাপাশি দেশ স্বাধীনের পরও সমাজে বিভক্তি বাড়ানোর ষড়যন্ত্র হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা বৈধ করতে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। তাঁর হ্যা না ভোট, তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেনাপ্রধান হয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন করার অর্থ হলো একদিকে সেনা আইন ভঙ্গ করা অন্যদিকে সংবিধান লঙ্ঘন। এই যে অনিয়মের যাত্রা শুরু, এই প্রক্রিয়াই চলতে থাকল বাংলাদেশে।
তারপরও দেশের কিছু মানুষ জিয়াউর রহমানকে বাহ্বা দেওয়ায় আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর প্রতি স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসের মদদদাতা, দুর্নীতিবাজরা যেন আর কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।