পায়েল হত্যা : হানিফ বাসের চালক, হেলপারের জামিন নামঞ্জুর

Looks like you've blocked notifications!

বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলার আসামি হানিফ পরিবহনের চালক, চালকের সহকারী (হেলপার) ও সুপারভাইজারের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল হালিম মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইয়ুব খান জানান, উচ্চ আদালতে জামিন নেওয়ার পর আসামিরা আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। মামলার নথিতে সংযুক্ত তথ্যে গরমিলসহ নানা অসংগতি থাকায় হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন, হেলপার ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার মারুফের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।

মামলায় বলা হয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিবিএর পঞ্চম সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্র ছিলেন পায়েল। চট্টগ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে দুই বন্ধু শান্ত ও আদরের সঙ্গে হানিফ এন্টারপ্রাইজের বাসে চড়ে গত ২১ জুলাই রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন পায়েল। ভোর ৪টার দিকে গজারিয়ার ভাটের চর ব্রিজের কাছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নামেন পায়েল। তখন বন্ধুরা ঘুমিয়ে ছিলেন।

পরে গাড়িটি ছেড়ে দিলে তড়িঘড়ি করে বাসে ওঠার সময় দরজায় ধাক্কা লেগে আহত হন পায়েল। কিন্তু এরপর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে উল্টো বাসের চালক ও সহকারীরা মিলে পায়েলকে পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বাসের সুপারভাইজার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে, ‘ভোররাত ৪টার দিকে হানিফ পরিবহনের বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গজারিয়ার ভাটের চর ব্রিজের কাছে যানজটে পড়ে। পায়েল তখন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাস থেকে নিচে নামেন। হঠাৎ বাসটি চলা শুরু করলে পায়েল দৌড়ে বাসে উঠতে চান। কিন্তু দরজায় বাড়ি খেয়ে নাক, মুখ ফেটে গিয়ে অচেতন হয়ে বাইরে পড়ে যান। তারা পায়েলকে মৃত ভেবে ব্রিজ থেকে নদীতে ফেলে দেয়। এরপর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।’