খালেদা জিয়ার মানহানির দুই মামলা : অভিযোগ গঠন ১৫ এপ্রিল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি

মানহানির দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বুধবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালতে স্থাপিত বিশেষ আদালতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এ দিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অভিযোগ গঠনের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস খালেদা জিয়াকে দুই মামলায় জামিন দেন।

মানচিত্র, পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃতির অভিযোগ

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত ৭-এ মানহানির মামলা করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল আইনজীবীরা এ মামলায় তাঁর জামিন চান। ১৭ মে আদালত তৃতীয় দফায় সময় পিছিয়ে আদেশের জন্য ৫ জুলাই আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। সেদিন জামিন নাকচ করেন ঢাকার একটি আদালত।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২২-এ মামলাটি করেন। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। গত সোমবার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।