‘সরকার সব কাজই করায়, কিন্তু আমরা বেতন পাচ্ছি না’

Looks like you've blocked notifications!
এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অনশন। ছবি : ফোকাস বাংলা

আমাদের দিয়ে সরকার সব কাজই করায়। কিন্তু আমরা বেতন পাচ্ছি না। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বসহ একাধিক কাজ আমরা করেছি। সরকারের সব ধরনের কাজ করার পরেও আমরা অবহেলিত।

এভাবেই ক্ষোভের সুরে বলছিলেন এমপিওভুক্তির দাবিতে অনশনে আসা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেকনিক্যাল কলেজ অ্যান্ড বিএম কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম রাব্বী। আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় তাঁর।

জাহেদুল ইসলাম রাব্বী বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে ৩০ বারের মতো এমপিওভুক্তির দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। প্রত্যেকবারই আমাদের দাবি মানার কথা থাকলেও আসলে মানা হচ্ছে না। এবার আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে শুনতে চাই। তিনি না বলে দিলেও আমরা এখান থেকে চলে যাব।’

প্রভাষক বলেন, আজ চতুর্থ দিনের মতো আমরা আন্দোলন করছি। এবার প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক আমরণ অনশনে অংশ নিয়েছেন। অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া শিক্ষক শৈলেন চন্দ্র রায় স্ট্রোক করে বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতলে ভর্তি হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, ‘গত ২১ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিমুখে গেলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। সে থেকে আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে এ আন্দোলন করছি।’

এদিকে শিক্ষকদের অবস্থানের ফলে পল্টন থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষকেরা জানান, এমপিওভুক্তি না করা পর্যন্ত তাঁরা ঘরে ফিরে যাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো ধরনের বক্তব্য তাঁরা শুনতে চান। কারো আশ্বাসে তাঁরা বিশ্বাস করেন না।

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব এসে আমাদেরকে জানান, প্রধানমন্ত্রী দাবি মেনে নিয়েছেন। অনশন ভেঙে আমাদের ঘরে ফিরে যেতে বলেন। এরপর জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ কয়েকজন এসে আমাদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। এক বছর পার হলেও আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণেই আমরা আবারো সমবেত হয়েছি। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা তুলে ধরব। তিনি আমাদের যে নির্দেশনা দেবেন, তাই মেনে নেওয়া হবে।’

এ জন্যে সারা দেশের ৫ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী প্রেসক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়েছেন বলে জানান বিনয় ভূষণ রায়।