নানা অনিয়মে ১ উপজেলা ও ১৪ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারাসহ নানা অনিয়মে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলা ও সারা দেশের ১৪ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
আজ রোববার ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিস্থিতি প্রতিবেদনে কেন্দ্রগুলোর ভোটগ্রহণ স্থগিতের কথা উল্লেখ করা হয়।
রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে রাখার প্রমাণ পাওয়ায় কটিয়াদি উপজেলায় সবকটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রোববার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরুর দুই ঘণ্টা পর তা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাতে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভর্তি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সকাল ১০টার দিকে ভোট স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া বহিরাগত প্রবেশ ও ব্যালটে অবৈধভাবে সিল মারায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উজিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, জাল ভোট দেওয়ায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঈশ্বরবা দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ব্যালটে সিল মারায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের জিয়নপুর ২৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রে, নানা অনিয়মের কারণে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চারটি ভোটকেন্দ্র ও ভৈরবের তিনটি কেন্দ্রে, চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি কেন্দ্রে এবং দুর্বৃত্তদের গুলিতে পুলিশ সদস্য আহতের ঘটনায় চন্দনাইশের ১২ নম্বর উত্তর বরকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬৩ নম্বর পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
রোববার তৃতীয় ধাপে সারাদেশের ২৫টি জেলার মোট ১১৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গণনা শুরু হয়েছে। রাতে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবেন।