খালেদা জিয়ার নির্দেশেই ঐক্যফ্রন্ট গঠন; শাহ মোয়াজ্জেমকে মির্জা ফখরুল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজন ছিল না- এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে নির্বাচন করে কী লাভ হয়েছে বিএনপির?
তবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার নির্দেশেই ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে গেলে এ সরকারকে আর সরানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় ঘুরে ফিরেই আসে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গ। নিরপেক্ষ সরকার কিংবা কোনো দাবি মানা ছাড়াই বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশ নিল সেই প্রশ্ন রাখেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তো অন্য কাউকে দরকার ছিল না। আমাদের খালেদা জিয়া রয়েছেন। প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে কথা বলল। একটা কথাও কি রাখল প্রাইম মিনিস্টার? একটা দাবিও রাখল? তাহলে তার পরও কেন ইলেকশন?
তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসনের নির্দেশনাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। এই নির্বাচনে যাওয়ার আগেও আমরা আমাদের নেত্রীর সঙ্গে কারাগারে যোগাযোগ করেছি। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনে যেতে হবে এবং জনগণের মাঝে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এমনকি নির্বাচনের পরও তিনি এই নির্দেশই দিয়েছেন, এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, শুধু আবেগ দিয়ে যুদ্ধ জয় হয় না। জনগণের ঐক্যকেও সুদৃঢ় করতে হয়। কঠিন সময় এখন। আর এই সময়ে জনগণের ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। আরো সুদৃঢ় করতে হবে। জনগণের ঐক্য ভাঙার ষড়যন্ত্র হচ্ছে, হবেও। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে আবেগের সঙ্গে সবার ঐক্য নিয়ে লড়াই করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকে আমরা একটি হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। বেছে নিয়েছিলাম আমাদের গণতন্ত্রের মাতার নির্দেশেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এখানে অনেকে অনেক কথা বলছেন। আমরা দেখেছি নেত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পরের কর্মসূচিগুলোতে কতজন এসেছেন, কতজন আসেননি। আমরা তো দেখেছি কারা কারা কর্মসূচি থেকে আস্তে আস্তে চলে গেছেন। আমরা তো দেখেছি এই নির্বাচনের মধ্যে কারা বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেছেন। সুতরাং শুধু কথা বলে একটি আবদ্ধ ঘরের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় বসে থেকে শত্রুকে পরাজিত করতে পারব না।’
স্মরণসভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাও বক্তব্য দেন।