রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি, তিতাসে ৪ কেন্দ্র স্থগিত
ভোটের আগের রাতে ব্যালট বক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগে কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর রাজু এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মেজর রাজু বলেন, ‘তিতাস উপজেলার চারটি কেন্দ্র ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। গত রাতে এই কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট বক্স ভরে রাখা হয়েছিল। এই অভিযোগ ওঠার পর ভোট গ্রহণই শুরু করা হয়নি।’
‘আমার কাছে তিনটি কেন্দ্রের তালিকা আছে। তিনটি কেন্দ্রের নাম হচ্ছে বন্দরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাশকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভিটিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,’ যোগ করেন মেজর রাজু।
এর আগে গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী সচিব নুর নাহার ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আহসানুল ইসলামকে ৩০ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে নির্বাচন-পরবর্তী ২ এপ্রিল বিকেল ২টা পর্যন্ত নির্বাচন-সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।’
ওসি সৈয়দ আহসানুলের জায়গায় সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়াকে দায়িত্ব প্রদানসহ একজন সহকারী পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলতি পঞ্চম উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে পাঁচ বিভাগের ২২ জেলার ১০৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি জেলার সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ ধাপে ১২২টি উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এ ধাপে ১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান—তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই ১৫টি উপজেলার ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।