অনিয়মের অভিযোগে তিতাস উপজেলায় ভোট স্থগিত
ভোটকেন্দ্রে সংগঠিত অনিয়মের কারণে ন্যায়সঙ্গত, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয় জানিয়ে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখার অভিযোগে আজ রোববার সকালে প্রথমে উপজেলার চারটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। পরে বিকেলে তিতাস উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) পাঠানো নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের কথা জানানো হয়।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তিতাস উপজেলার চারটি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্দরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাশকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভিটিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এর আগে গতকাল শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী সচিব নুর নাহার ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আহসানুল ইসলামকে ৩০ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে নির্বাচন-পরবর্তী ২ এপ্রিল বিকেল ২টা পর্যন্ত নির্বাচন-সংক্রান্ত সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহিত দেওয়া হয়েছে।’
ওসি সৈয়দ আহসানুলের জায়গায় সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়াকে দায়িত্ব প্রদানসহ একজন সহকারী পুলিশ সুপার/অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদারকির দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
চলতি পঞ্চম উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপে পাঁচ বিভাগের ২২ জেলার ১০৭টি উপজেলায় আজ রোববার ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে ছয়টি জেলার সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ ধাপে ১২২টি উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এ ধাপে ১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান—তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে ওই ১৫টি উপজেলার ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না।