বাস থেকে ফেলে হত্যা : ওয়াসিমের লাশ উত্তোলনের আদেশ

Looks like you've blocked notifications!
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আফনান। ছবি : সংগৃহীত

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ছাত্র ঘোরি মো. ওয়াসিম আফনানের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালত। বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

সিকৃবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আফনানের লাশ ময়নাতদন্ত না করে দাফন করায় তা কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হবিগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন খানকে ময়নাতদন্ত শেষে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ হবিগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

আদালত একই বিষয়ে সহযোগিতার জন্য হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সপার, মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অনুলিপি দিয়েছেন।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ঘোরি মো. ওয়াসিম আফনানকে বাস থেকে ধাক্কা ও চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার বাসচালক জুয়েল ও তাঁর সহকারী মাসুক মিয়া। ছবি : এনটিভি

এদিকে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি সোহেল আহম্মদ জানান, পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে ওয়াসিম আফনানকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন উদার পরিবহনের বাসচালক জুয়েল আহমদ ও তাঁর সহকারী মাসুক মিয়া।

সিকৃবির ছাত্র ওয়াসিমকে গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজারের শেরপুর এলাকায় বাস থেকে ধাক্কা ও চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুব ও ডা. মীনা পারভিনের একমাত্র ছেলে।

পরে গত ২৫ মার্চ সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উদার পরিবহনের চালক জুয়েল, চালকের সহকারী মাসুক ও সুপারভাইজার সেফুল মিয়াকে আসামি করে মামলা করেন। আসামি সেফুল মিয়া পলাতক রয়েছেন।