ভোটের ১৬ দিন পর দুপক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১

Looks like you've blocked notifications!
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ছবি : এনটিভি

উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণের ১৬ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ২০ জন।

নিহত ব্যক্তির নাম দেলোয়ার মাতুব্বর (৩০)। এ ছাড়া ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু ঘরবাড়ি।

গতকাল বুধবার উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোইল গ্রামে রাতভর ওই সংঘর্ষ চলে। নিহত দেলোয়ার এলাকার মরহুম খালেক মাতুব্বরের ছেলে। তিনি বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।

গত ১৮ মার্চ বোয়ালমারীতে উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে আনারস মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটন মৃধাকে হারিয়ে জয়ী হন আওয়ামী লীগের মুসা মিয়া।

নিহতের চাচাতো ভাই জামাল মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী  মুসা মিয়ার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া শেষে তাঁর সমর্থক শুভ কাজীসহ আরো কয়েকজন আমার সঙ্গে গণ্ডগোল শুরু করে। পরে তাঁরা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাকে ও চাচাতো ভাই দেলোয়ারসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের অনেকেই আহত হয়।’

জামাল আরো বলেন, ‘পরে আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ারকে ফরিদপুর নিয়ে যেতে চাইলে হামলাকারীরা আমাদের আটকে রাখে। পুলিশ শেষ রাতের দিকে এসে আমাদের উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দেলোয়ার মারা যান।’

সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন জামাল। এতে জাবের মোল্লা, ইসলাম মোল্লা, জাহাঙ্গীর মাতুব্বর, সাজ্জাদ, জাসুদ ফকিরসহ আরো অনেকেই আহত হন বলে জানান তিনি।  তাঁদের  উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘গতকাল রাতে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা ও আনারস প্রতীকের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের মধ্যে চলা ওই সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আনারস মার্কার সমর্থক দেলোয়ার। বৃহস্পতিবার ভোররাতে আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ারকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়ার পথে কানাইপুরে তিনি মারা যান।’

ওসি শামীম আরো জানান, রাতভর চলা ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আবারও সংঘর্ষ হতে পারে—এ আশঙ্কায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত দেলোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।