শিশুর নিরাপত্তা দিতে সরকার সচেষ্ট : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর নিরাপত্তা দিতে সরকার সচেষ্ট। আর যেন কোনো শিশুকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকতে না হয় তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
urgentPhoto
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ এর আয়োজন করে।
বাংলাদেশকে শিশুদের নিরাপদ আসাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের শিশু হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সরকার, যাতে কেউ শিশু হত্যা করে রেহাই না পায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশের মতো একটি কালো আইনের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই কালো আইন বাতিল করে ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘পিতা-মাতা, ভাই-ভ্রাতৃবধূ সবাইকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সবার শেষে রাসেলকে কী নির্মমভাবে বুলেটের আঘাতে তার ওই ছোট্ট দেহটিকে জর্জরিত করে ফেলা হলো।’
বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্ম হয় ১৯৬৪ সালের এই দিনে। কিন্তু ১০ বছর বয়সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। নিজের ছোট ভাইয়ের স্মৃতি স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাসেল বেঁচে থাকলে এখন ৫১ বছর বয়স হতো তার।’
বাংলাদেশের অগ্রগতিতে সারা বিশ্বের মানুষ এখন প্রশংসা করে, আর এটা ধরে রাখতে শিশুদের উপযুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় আক্ষেপ করেন।
অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শেখ হাসিনা।