ফের সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন কামরুলের

Looks like you've blocked notifications!
কামরুল ইসলাম। ফাইল ছবি

সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম। আজ কামরুল ইসলামের পক্ষে তাঁর আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারকের কাছে এ আবেদন জানান।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শওকত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আসামি কামরুল দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে না থাকায় তিনি (কামরুল) আইনজীবী নিয়োগ করতে পারেননি। তাঁর পক্ষে নতুন আইনজীবী নিয়োগ করে পুনরায় সব সাক্ষীর সাক্ষ্য শোনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।

আজ সকাল ৯টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কামরুলসহ অন্য আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় আদালতপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। তখন বিক্ষুব্ধ কিছু জনতা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিল। অনেকে কামরুলের ফাঁসি দাবি করে স্লোগানও দিতে থাকে।

এদিন মামলার সর্বশেষ সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদারসহ তিনজন মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কামরুলের উপস্থিতিতেই চলে সাক্ষ্যগ্রহণ। সাক্ষ্যগ্রহণের একপর্যায়ে কামরুল আদালতে আবেদন করেন ৩৫  জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নতুন করে গ্রহণের জন্য।

রাজন হত্যা মামলার অভিযোগভুক্ত আসামিরা হলেন কামরুল ইসলাম, তাঁর ভাই মুহিদ আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমদ (পলাতক), তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ, পাভেল (পলাতক) ও আয়াজ আলী।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেল প্রায় ৩টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে পুলিশের তিন কর্মকর্তা কামরুলকে নিয়ে সৌদি আরব থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফেরেন। কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শেষ করে কড়া পুলিশি পাহারায় কামরুলকে সিলেটে আনা হয়। পরদিন রাজন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছরের ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা রাজনকে নির্যাতনের চিত্র ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছাড়ে। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনার পর পরই কামরুল পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। পরে ধরা পড়ার পর সেখানে তিনি পুলিশি হেফাজতে ছিলেন।