গামছা কেন ময়লা বলেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, গরম পানি

Looks like you've blocked notifications!
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ লতা আক্তার। ছবি : এনটিভি

মানিকগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শরীরে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দিয়েছেন এক স্বামী। এরপর থেকে গৃহবধূ লতা আক্তার (১৯) যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন জেলা সদর হাসপাতালে।

এ ব্যাপারে সোমবার লতার বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লতার বাবা বিশা খাঁ জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলার বেউথা গ্রামে আবদুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) সঙ্গে তাঁর মেয়ে লতা আক্তারের বিয়ে হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তাঁর মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে তাঁর মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

গতকাল রোববার দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলেন লতাকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের জন্য গামছা নিয়ে আসতে বলেন। গামছা নিয়ে যাওয়ার পর গামছা কেন ময়লা এই কথা বলে লতাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গোসলের গরম পানি লতার শরীরে ঢেলে দেন সুজন। এতে লতার পিঠ ও দুই হাত ঝলসে গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে বিশা খাঁ সন্ধ্যায় তাঁর মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুজনের শাস্তির দাবিতে সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর লতা আক্তার জানান, প্রায় সময় কোনো না কোনো অজুহাতে তাঁর স্বামী সুজন তাঁকে মারধর করেন। রোববার তাঁকে হত্যার উদ্দেশে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেন।

মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধূর শরীরের ৩০ ভাগ ঝলসে গেছে। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে লতা আক্তারের বাবা  একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামি সুজন মিয়া পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।