নুসরাতের ময়নাতদন্ত শেষ, ফেনীর পথে মরদেহ

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফোকাস বাংলা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গায়ে আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়া মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে নুসরাতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তারপরই পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।

ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকদের নিয়ে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নুসরাতের শরীর অতিরিক্ত পুড়ে যাওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’

ঢামেক পরিচালক আরো জানান, ‘চিকিৎসকরা নুসরাতের মরদেহ থেকে টিস্যু সংগ্রহ করেছেন। টিস্যুগুলো ডিএনএ পরীক্ষা ও মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এরপর রিপোর্ট আসলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা প্রতিবেদন দেবেন।’

পোড়া শরীর নিয়ে টানা পাঁচ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল বুধবার রাতে না-ফেরার দেশে চলে গেছেন নুসরাত। আজ ময়নাতদন্তের পর তাঁর মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।  

নুসরাত এবার সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (এইচএসসি সমমান) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তিনি সোনাগাজীর উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের মাওলানা এ কে এম মুসা মানিকের মেয়ে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। গত ৬ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন দেয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফেনী সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।

পরিবারের অভিযোগ, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহানের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। নুসরাত বিষয়টি বাসায় জানালে তাঁদের মা সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে।

এরপর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় অধ্যক্ষের লোকজন। কিন্তু নুসরাত অপারগতা প্রকাশ করেন।

নুসরাতকে গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে অধ্যক্ষসহ কয়েকজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।