গণসংহতি আন্দোলন ও ইনসানিয়াত বিপ্লবকে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!

গণসংহতি আন্দোলন ও ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জারি করা পৃথক রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই দলটিকে নিবন্ধন না দেওয়া সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— রুলে তাও জানতে চান আদালত।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং আইন মন্ত্রণালয় সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। পরে গত বছরের ৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধি, ২০০৮ ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই আবেদনে। ১৫ দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয় গণসংহতি আন্দোলনকে।

পরে ১৩ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের দুটি প্রবিধানের বিষয় ঠিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও ব্যাখ্যাসহ আবার তা ২২ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। কিন্তু এরপরও নিবন্ধন না দিয়ে দলটির পক্ষে করা আবেদন খারিজ করে দেন নির্বাচন কমিশন।

পরে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন আবেদন খারিজ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা পুনর্বিবেচনা করতে নির্বাচন কমিশনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী।

অপরদিকে এক রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।