জলাবদ্ধতা দূর করতে মিরপুরে ‘খাল’ খননের উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর মিরপুরের সাংবাদিক আবাসিক এলাকার পূর্ব পাশের খালটি (বর্তমানে নর্দমা) খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মেয়র আতিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার খনন কাজ পরিদর্শন করেন। ছবি : স্টার মেইল

রাজধানীর মিরপুর ১১ ও ১২ নম্বর সেকশনে জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ভরাট হয়ে যাওয়া সাংবাদিক আবাসিক এলাকার পূর্ব পাশের খালটি (বর্তমানে নর্দমা) খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে খালটির সংস্কার ও উদ্ধার করতে ঢাকা ওয়াসাকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভরাট হয়ে যাওয়া খালটির খনন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র বলেন, নদী দখলমুক্ত করতে যেভাবে উচ্ছেদ অভিযান চলছে, খাল উদ্ধারেও তেমন অভিযান প্রয়োজন।

খালটি মিরপুরের কালশী রোডের পাশে অবস্থিত। এক সময় খালটি দিয়ে নৌকা ও ট্রলার চলাচল করত। খালটির ওপর কালভার্ট নির্মাণ করে সেটি সংকুচিত করা হয়। এরপর খালটি দখল করে দুই পাশে স্থাপনা গড়ে ওঠে। এক সময় খালটির পশ্চিম পাশে সাংবাদিকদের আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাংবাদিক আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। খালটি একপর্যায়ে নালায় পরিণত হয়। মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের এ ও বি ব্লক এবং ১২ নম্বর সেকশনের বি ও ধ ব্লকের নর্দমার পানি সেই নালায় গিয়ে পড়ছে। নালাটি বর্জ্য ও বালিতে প্রায় ভরাট হয়ে গেছে। কিছু অংশ চলে গেছে অবৈধ দখলে, ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে পাকা স্থাপনা। ফলে পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কালশী সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায়। কালশী সড়কের সাংবাদিক আবাসিক এলাকার প্রবেশ পথে কোমড় সমান পানি জমে যায়। এমনকি যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের।

রাজধানীর মিরপুরের সাংবাদিক আবাসিক এলাকার পূর্ব পাশের খালটি (বর্তমানে নর্দমা) খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মেয়র আতিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার খনন কাজ পরিদর্শন করেন। ছবি : স্টার মেইল

খালটির বর্তমান অবস্থা দেখে আজ ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকা ওয়াসা ও জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির আন্ডারে যা কিছু থাকবে, খালের ওপরে আমি সব কিছু ভাঙতে বলেছিল। তারপর আপনারা জানেন এখানে অথরিটি বলে একটা কথা আছে। যেটি কি না ডিএনসিসির আন্ডারে না। খালটি হলো ওয়াসার আন্ডারে। খালের পাড় হলো ডিসির (জেলা প্রশাসক) আন্ডারে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি ডিসিকে, ডিসি শুড কাম হেয়ার। ডিসি দেখবে যে খালের দুই ধারে যেভাবে অবৈধ স্থাপনা হয়েছে, এগুলোকে ভেঙে ফেলা উচিত। যেভাবে আমরা দেখছি আমাদের নদীর দুই ধারে অবৈধ যা কিছু আছে সব কিছু ভেঙে ফেলছে।’