ভৈরবে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় মানববন্ধন গোসল উৎসব

Looks like you've blocked notifications!
দি ব্ল্যাকহোল অ্যাসোসিয়েটস সংগঠনের কয়েকশ যুবক আজ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে গোসল করে। ছবি : এনটিভি

শুধু উৎসব নয়, নয় ব্যর্থ আয়োজন। জল ও জীবন প্রবাহ রক্ষায়, তারুণ্যের প্রতিবাদী আন্দোলন-এই স্লোগানে দি ব্ল্যাকহোল অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি স্থানীয় সংগঠনের কয়েকশ যুবক আজ শনিবার সকালে নদী ও পরিবেশ রক্ষায় মানববন্ধন ও গোসল উৎসবের আয়োজন করে। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী তীরের সড়ক ও রেলসেতুর মোহনায় মানববন্ধন ও আলোচনা শেষে তারা নদীতে নেমে গোসল করে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন।

মেঘনাকে স্বচ্ছ, স্রোতশ্বিনী, চির যৌবনা এবং সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই নদী রক্ষায় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্য দেন রাকিবুল হাসান সবুজ। তিনি তাঁর বক্তব্যে মেঘনার তীর ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কয়লার আড়ৎ অপসারণের দাবি জানান। শিশু-কিশোরদের খেলার জন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা খুলে দেওয়ার দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম ও ইশতিয়াক রিগান।

দি ব্ল্যাকহোল অ্যাসোসিয়েটস সংগঠনের কয়েকশ যুবক আজ শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী তীরের সড়ক ও রেলসেতুর মোহনায় মানববন্ধন করে। ছবি : এনটিভি

এই সময় তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে মেঘনা রক্ষা ও বাসযোগ্য এবং কল্যাণময় ভৈরব বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার পোষণ করে বক্তব্য দেন ভৈরব উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জামাল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অরুণ আল আজাদ।

আগামীর জন্য মেঘনা থাকুক পরিপূর্ণ। স্বচ্ছ জল, সফেদ পরাণ। হোক কলরব, নদী রবে স্বচ্ছ-সরব। ভৈরববাসীর কাছে মায়ের মতো মমতাময়ী নদী মেঘনা এবং মেঘনার তীর সব দূষণ ও দখল থেকে মুক্ত থাকবে এবং সব নাগরিকের জন্য সুপেয় পানীয় জলের ব্যবস্থা, পরিকল্পিত নগরায়ণ ও উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবিও ওঠে আসে বক্তাদের কাছ থেকে।

এ সময় সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যাংকার সামিউজ্জামান সুমন নদী রক্ষা ও দূষণমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার অঙ্গীকারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান। পরে উৎসবে যোগ দিতে আসা সবাইকে বাংলার ঐতিহ্য খৈ-মুড়ি দিয়ে আপ্যায়িত করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

এদিকে স্থানীয় মেঘনা জেনারেল হাসপাতাল গোসল উৎসবের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিনামূল্যে ডায়াবেটিক পরীক্ষার কর্মসূচি পালন করে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শতাধিক লোকের রক্ত পরীক্ষা করা হয় বলে হাসপাতালের ব্যবস্থাপক বিমল বিশ্বাস জানিয়েছেন।