রাবি শিক্ষক লিলনকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম সফিউল ইসলাম লিলনকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার রায় আজ সোমবার এ রায় দেন। রায়ে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আটজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রাজশাহীর কাটাখালীর যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম মানিক, আবদুস সালাম পিন্টু ও সবুজ শেখ। এর মধ্যে সবুজ পলাতক। রায় ঘোষণার সময় অপর দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন—রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আবদুস সালাম পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার রেশমা, সিরাজুল ইসলাম কালু, আল-মামুন, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহীম খলিল ও আরিফ।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক জানান, এ মামলায় ৩৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৩ মার্চ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। আজ বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন।

মামলার চার্জশিটে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে সফিউল ইসলাম লিলনের দ্বন্দ্বের জেরে তাঁর স্বামী যুবদল নেতা আবদুস সালাম পিন্টু এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সফিউল ইসলাম লিলনকে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর যুবদল নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ছয়জনকে ঢাকা থেকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকেও আটক করে গোয়েন্দা শাখা পুলিশ।

ঘটনার এক বছর পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক রেজাউস সাদিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এতে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। একজন ছাড়া মামলার ১০ আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন।