পয়লা বৈশাখে বেড়াতে গিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

Looks like you've blocked notifications!

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ক্ষুদ্র জাতিসত্তার এক কিশোরীকে (১৩) অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সুজন হাঁসদা (২২) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।

ধামইরহাট থানার পুলিশ ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই কিশোরীর বাড়ি ধামইরহাটের আলমপুর ইউনিয়নে। গত রোববার বিদ্যালয়ের আয়োজনে বর্ষবরণের শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সে বাড়ি থেকে বের হয়। বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান শেষে ওই কিশোরী বান্ধবীদের সঙ্গে আত্রাই নদের ধারে উপজেলার শিমুলতলীতে সামাজিক বনায়ন এলাকায়  বেড়াতে যায়। একপর্যায়ে একা পেয়ে সুজন হাঁসদা নামের এক তরুণ কিশোরীর পথরোধ করে দাঁড়ান। এরপর তিনি নানা ভয়ভীতির মুখে কিশোরীটিকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তুলে সাপাহার উপজেলার গোপালপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা পুলিশ রোববার রাত আড়াইটার দিকে সুজন হাঁসদার বাড়ি থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সুজন হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করে।

ওই কিশোরীর বাবা বলেন, তাঁদের গ্রামে সুজনের বোনের বিয়ে হয়েছে। এই সুবাদে সুজন প্রায়ই তাঁর বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসত। মাঝেমধ্যেই সুজন তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি জানার পর সুজনের বোন-দুলাভাইয়ের কাছে অভিযোগ করা হয় এবং তাঁকে গ্রামে আসতে বারণ করা হয়। এই ক্ষোভে সুজন তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণ করে।

সুজনকে আসামিকে করে স্কুলছাত্রীর বাবা আজ সোমবার ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। আজ নওগাঁ সদর হাসপাতালে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার সুজনকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।